আসসালামু আলাইকুম আজকের এই পর্বে বেসিক ইলেকট্রিক্যাল বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রশ্ন উত্তর শেয়ার করলাম যেগুলো ইলেকট্রিক্যাল লাইসেন্স এবং ইন্ডাস্ট্রিয়াল চাকরির ভাইবার জন্য কমন প্রশ্ন শেষ পর্যন্ত পড়ুন একটু হলেও আপনার উপকারে আসবে।
১. প্রশ্নঃ বিদ্যুৎ কী?
উত্তরঃ বিদ্যুৎ একটি অদৃশ্য শক্তি যা চোখে দেখা যায় না। হাত দিলে আঘাতপ্রাপ্ত হয়। যা দিয়ে আলো, চাপ, তাপ, ঘূর্ণন ইত্যাদি শক্তিতে রূপান্তর করা যায়।
২. প্রশ্নঃ ভোল্টেজ কী?
উত্তরঃ বৈদ্যুতিক চাপকে ভোল্টেজ বলে Voltege কে V দ্বারা প্রকাশ করা হয়।
৩. প্রশ্নঃ নিয়ন টেস্টার দিয়ে কী নির্ণয় করা হয়?
উত্তরঃ বিদ্যুতের উপস্থিতি নির্ণয় করা হয়।
৪. প্রশ্নঃ এনার্জি মিটার কী?
উত্তরঃ যে মিটার দ্বার ব্যায়িত শক্তির হিসাব করা হয় তাকে এনার্জি মিটার বলে। সাধারণত KWH বা ইউনিটে লেখা হয়।
৫. প্রশ্নঃ অ্যাভোমিটার দিয়ে কী পরিমাপ করা হয়?
উত্তরঃ অ্যাভোমিটার দিয়ে কারেন্ট, ভোল্টেজ ও রেজিস্ট্যান্স পরিমাপ করা হয়।
৬. প্রশ্নঃ কারেন্ট কী?
উত্তরঃ কোন পরিবাহীর মধ্য দিয়ে ইলেকট্রন প্রবাহের হার কে কারেন্ট বলে। এর প্রতীক ইংরেজি অক্ষর ( i ) দ্বারা প্রকাশ করা হয়।
৭. প্রশ্নঃ কারেন্টের একক কী?
উত্তরঃ কারেন্টের একক হচ্ছে এম্পিয়ার ( Amper ) যাকে A দ্বারা প্রকাশ করা হয়।
৮. প্রশ্নঃ কারেন্ট কত প্রকার?
উত্তরঃ কারেন্ট হচ্ছে দুই প্রকার যথা:--
১/ এসি কারেন্ট বা Alternating Current.
২/ ডিসি কারেন্ট বা Direct Current.
৯. প্রশ্নঃ inverter কী?
উত্তরঃ যে যন্ত্রের সাহায্য DC কারেন্ট কে AC কারেন্টে রূপান্তর করে তাকে ইনভার্টার বলে।
১০. প্রশ্নঃ রেজিস্ট্যান্স কী?
উত্তরঃ যে ধর্মের কারণে পরিবাহীর মধ্য দিয়ে ইলেকট্রন প্রবাহের বাধা সৃষ্টি করে তাকে রোধ বা রেজিস্ট্যান্স বলে।
১১. প্রশ্নঃ ohm/ ওহমের সূত্রটি লেখ?
উত্তরঃ তাপমাত্রা স্থির থাকলে কোন পরিবাহীর মধ্য দিয়ে প্রবাহিত কারেন্ট দুই প্রান্তের বিভব পার্থক্যের সমানুপাতিক। এবং ওই পরিবাহীর রেজিস্টেন্সের ব্যস্তানুপাতিক।
১২. প্রশ্নঃ টিউবলাইটে কী কী গ্যাস ব্যবহার করা হয়?
উত্তরঃ নাইট্রোজেন, আর্গন, সোডিয়াম, হাইড্রোজেন ইত্যাদি ব্যবহার করা হয়।
১৩. প্রশ্নঃ টিউবলাইট কত ওয়াটের হয়ে থাকে?
উত্তরঃ ৪' ৩৬ ওয়াট ২' ১৮ ওয়াট ১' ৯ ওয়াট হয়ে থাকে তবে টিউবলাইট ব্লাস্ট সহ একটু বেশি বিদ্যুৎ নিয়ে থাকে ৪' ৪০ ওয়াট ২' ২০ ওয়াট ১' ১০ ওয়াট দুইটা ভেতর আপনি যে কোন একটি পরীক্ষার খাতায় লিখতে পারেন।
১৪. প্রশ্নঃ বৈদ্যুতিক ওয়্যারিং কী?
উত্তরঃ বৈদ্যুতিক লোড গুলো বৈদ্যুতিক বিধিবদ্ধ মোতাবেক ক্যাবল, সুইচ, পিভিসি পাইপ ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে উৎসের সাথে সংযোগ স্থাপন করাকে ওয়্যারিং বলে।
১৫. প্রশ্নঃ ওয়্যারিং কত প্রকার ও কী কী?
উত্তরঃ প্রধানত ওয়্যারিং তিন প্রকার যথা:
১/ ওভারহেড ওয়্যারিং।
২/ আন্ডারগ্রাউন্ড ওয়্যারিং ।
৩/ হাউস ওয়্যারিং।
১৬. প্রশ্নঃ বাসা বাড়িতে কোন ধরনের ওয়্যারিং করা হয়?
উত্তরঃ কনসিল্ড কুন্ডুইট, সারফেস কুন্ডুইট, চ্যানেল, ক্লিপ, হুক ইত্যাদি।
১৭. প্রশ্নঃ দশটি ওয়্যারিং ফিটিংস এর নাম লিখ?
উত্তরঃ ১/ ক্যাবল ২/ পিভিসি পাইপ ৩/ সুইচ, ফিউজ ৪/ সিলিং রোজ ৫/ হোল্ডার ৬/ স্যাডেল ক্লাম ৭/ পিভিসি চ্যানেল ৮/ পিভিসি টেপ ৯/ ইন্ডিকেটর ১০/ স্ক্র ইত্যাদির।
১৮. প্রশ্নঃ পাওয়ারের একক কী?
উত্তরঃ পাওয়ারের একক হচ্ছে ওয়াট W বা কিলোওয়াট KW দ্বারা প্রকাশ করা হয়।
১৯. প্রশ্নঃ ফ্রিকুয়েন্সি কাকে বলে?
উত্তরঃ প্রতি সেকেন্ডে যতগুলো পূর্ণ সাইকেল কাজ সম্পন্ন করে তাকে ফ্রিকোয়েন্সি বলে।
২০. প্রশ্নঃ একটা লাইটের গায়ে লিখা 100 Watt 220 Volt 50 Hz মানে কী?
উত্তরঃ উক্ত লাইভটি সিঙ্গেল ফেজ অর্থাৎ 220 Volt লাইনে প্রতি সেকেন্ডে 100 জুল কার্য সম্পন্ন করে এবং ফ্রিকুয়েন্সি 50 সাইকেল পার সেকেন্ড।
২১. প্রশ্নঃ বাংলাদেশের সকল ডিভাইসের গায়ে 50 Hz লেখা থাকে কেন?
উত্তরঃ বাংলাদেশের সাপ্লাই কৃত বিদ্যুতের ফ্রিকুয়েন্সি সাধারনত 50 সাইকেল পার সেকেন্ড হয়ে থাকে। কিন্তু অন্যান্য দেশগুলোতে ফ্রিকোয়েন্সির তারতম্য দেখা যায়। ধরেন আপনি অন্য দেশ থেকে একটি ডিভাইস কিনেছেন ওই দেশের যদি ফ্রিকোয়েন্সি বাংলাদেশের ফ্রিকোয়েন্সির চেয়ে কম বেশি থাকে তাহলে বাংলাদেশে ডিভাইস টি চলার অনুপযোগী হবে। অর্থাৎ এটি একটি সেনসিটিভ ইস্যু তাই প্রতিটি ডিভাইসের গায়ে লেখা থাকে।